দুই দাবিতে ভিসি ভবনে তালা দিলেন জবি শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ভিসি ভবন তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে তারা উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচী পালন করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দিয়েছি। গত মে মাস থেকে এক–দুই মাসের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের অদক্ষতার কারণে তা হয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি ছিল বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা। কিন্তু প্রশাসন তা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন আমরা বাইরে ছিলাম, প্রশাসন এসির বাতাসে ছিল। এখন থেকে আমরা ভিসি ভবনে থাকব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।’
শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্যসচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমরা গত এক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। দৃশ্যমানভাবে এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসি ভবন ছাড়ব না।’
শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা দুই দফা দাবি নিয়ে বসেছি। প্রশাসনের নীরবতা ভাঙতেই আমাদের এ কর্মসূচি। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। কেন এই দীর্ঘসূত্রিতা—তা শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। তাদের দাবি যৌক্তিক। জকসুর চূড়ান্ত নীতিমালা এখনও হাতে পাইনি, তবে কমিটি কাজ করছে। আশা করছি, শিগগিরই হাতে পাব। নীতিমালা পেলে আগামী মঙ্গলবার সিন্ডিকেট মিটিং করে পাস করব। পরের দিন বুধবার বা বৃহস্পতিবার ইউজিসিতে পাঠানো হবে। অধ্যাদেশ আসলেই রোডম্যাপ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহেও আমরা বৃত্তির বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।’