পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাবিতে কর্মবিরতি, শিক্ষার্থীদের পাল্টা বিক্ষোভ
সন্তানের শিক্ষার জন্য ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা’ (পোষ্যকোটা) পুনর্বহালসহ আট দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষা ও জরুরি সেবা ছাড়া অধিকাংশ বিভাগ ও দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল বুধবার বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
অন্যদিকে, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা পাল্টা কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ আখ্যা দেন।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত আবাসিকতার ব্যবস্থা, পরিবহণ উন্নয়ন, গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি, সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা, দাপ্তরিক পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্নীতিবাজদের বিচার ও সন্তানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চালু।
অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা থাকলে আমরা বঞ্চিত হব কেন? অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছি। দাবি মানলে আন্দোলন স্থগিত করব, না হলে কঠোর কর্মসূচি আসবে।’
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ‘অনেক আগে পোষ্যকোটা বাতিল হয়েছে। অথচ রাকসু নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে তা ইস্যু করা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। আমরা রাকসু নির্বাচন বানচালের যেকোনো প্রক্রিয়া প্রতিহত করব।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশকে কোটাভিত্তিক নয়, মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নানান কোটার নামে সুবিধা দিলে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন ব্যাহত হবে।’