বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের কাতারে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য
পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটো সুপিরিয়র টেকনিকোতে বাংলাদেশি অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদকে ক্যালিফোর্নিয়ায় স্কলারজিপএস কতৃক শীর্ষ বিজ্ঞানী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। গবেষণা, প্রভাব এবং মান এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ০.৫ শতাংশ স্কলারকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩ কোটির বেশি স্কলারের প্রোফাইল ও গবেষণাকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে শীর্ষ বৈজ্ঞানিকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ ৪টি ক্ষেত্রে বিশ্ব সেরা স্কলার-লাইফটাম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন, এর মধ্যে রয়েছে ২৪ ন্যানোফ্লুইড, ২৩৬ টেকসই শক্তি, ৩৯৭ ন্যানোপ্রযুক্তি এবং ৫০৪ নবায়নযোগ্য শক্তি।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
তাছাড়া বিগত ৫ বছর যাবৎ তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বব্যাপী ১৪১৬ তম এবং পর্তুগালে ১৬ তম স্থান অর্জন করেছেন। তার প্রকাশনার রেকর্ড, গবেষণা, কাজের প্রভাব এবং স্কেলারলি অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী সকল স্কলারদের মধ্যে তিনি ০.৫% এ স্থান দখল করে নিয়েছেন।
জানা যায়, বর্তমানে তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি নিউইয়র্কসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি জনাব মুর্শেদ নিয়মিতভাবেই ইউরোপীয় কমিশন এবং অনেক দেশের গবেষণা তহবিল সংস্থার জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট এবং পর্যালোচক হিসেবে কাজ করেছেন।
স্বপরিবারে বিজ্ঞানী সোহেল মুর্শেদ। ছবি: সংগৃহীত
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদের জন্ম বাংলাদেশের নড়াইল জেলায়। তার বাবা অধ্যাপক রুস্তম সিকদার পেশায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। বাংলাদেশে তিনি নড়াইল জেলার মাইজপাড়া উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, রুয়েট (সাবেক বিআইটি) এবং বুয়েট থেকে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে দেশের বাহিরে সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ) থেকে মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।