স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক হুইপ স্বপনের সম্পদ জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আদালত প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট ২০২৫, ২১:২৭
শেয়ার :
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক হুইপ স্বপনের সম্পদ জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জয়পুরহাট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং তার স্ত্রী মেহবুবা আলমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মেয়ে নুযায়মা মাহমুদসহ তাদের নামীয় ৬২ কোম্পানির বিনিয়োগও অবরুদ্ধ এবং স্বপন দম্পতির সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

‎জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের তদন্ত কাজ চলমান থাকায় আজ রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছেন।

‎অবরুদ্ধ এবং জব্দের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে স্বপনের ২৮ টি ব্যাংক হিসাব ও ৩২ কোম্পানির দুই লাখ ২১ হাজার ৫৬৪ টি শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০৭ শতাংশ জমি, একটি ফ্ল্যাট ও একটি প্লট জব্দ করা হয়েছে। তার স্ত্রী মেহেবুবা আলমের নামে নরসিংদীতে থাকা দুই কোটি ২৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৯০ টাকার জমি জব্দের আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জয়পুরহাটে দুই তলা বিশিষ্ট বাড়ি, গুলশানে একটি ফ্ল্যাট ও ২৪৪ শতাংশ জমি রয়েছে। পাশাপাশি ২৩ টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ৭৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের মেয়ে নুযায়মা মাহমুদের সাত কোম্পানির ১৪ হাজার ৯৭২ টি শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আজ দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন নিষেধাজ্ঞা আবেদন করেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখায় মামলা হয়েছে। 

তার নিজ, যৌথ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২৮টি হিসাবে ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ ১১ হাজার ৬৭৭ টাকা জমা ও ৩২৬ কোটি ৪৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৩ টাকা উত্তোলন করেছেন। যা তার ব্যবসায়ে যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনায় এসব লেনদেনসমূহ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়। যা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন মর্মে দেখা যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা একান্ত জরুরি।