সকালে যে আমল করলে বরকতময় হয় সারাদিন
মানুষের সৃষ্টি আল্লাহর ইবাদতের জন্য। দিনের শুরুতে আল্লাহর স্মরণ জীবনকে প্রশান্ত ও বরকতময় করে তোলে। নবী করিম (সা.) বিভিন্ন হাদিসে সকালবেলার বিশেষ কিছু আমলের কথা বলেছেন, যা পালন করলে সারাদিন কল্যাণ ও বরকতে ভরা থাকে।
সকালের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহ
সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি পড়া
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন— 'যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উত্তম কিছু কেউ উপস্থাপন করতে পারবে না, তবে যে ব্যক্তি তার চেয়েও বেশি আমল করবে।' (মুসলিম, ২৬৯২)
সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিলাওয়াত
হাদিসে এসেছে— 'যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় তিনবার করে ‘সুরা ইখলাস’, ‘সুরা ফালাক’ ও ‘সুরা নাস’ পড়বে, এটি তার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট হবে।' (তিরমিজি, ৩/১৮২)
আরও পড়ুন:
কোন সময় দোয়া করলে বেশি কবুল হয়?
আউজু বিকালিমা-তিল্লাহি তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক পড়া
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত— 'যদি কেউ সন্ধ্যায় বলে ‘আউজু বিকালিমা-তিল্লাহি তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’, তাহলে সে রাতে কোনো বিপদে পড়বে না।' (মুসলিম, ২৭০৯)
আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি পাঠ করা
নবী (সা.) বলেন— 'প্রতিদিন ১০০ বার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি’ বললে, তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে।' (বুখারি, ৬৩০৭; মুসলিম, ২৭০২)
ফজরের পর বিশেষ দোয়া পাঠ
আরও পড়ুন:
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন
ফজরের নামাজের পর এই দোয়াটি পড়তে বলা হয়েছে— 'اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً'
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আন ওয়া রিযকান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক ও কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি। (ইবন মাজাহ, ৯২৫)
কুফর, দারিদ্র্য ও কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাওয়া
হাদিসে এসেছে— 'যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পড়বে, আল্লাহ তাকে নিরাপদ রাখবেন।' (আবু দাউদ, ৫০৯২)
আরও পড়ুন:
চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল
হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া পাঠ
এই দোয়াটি সাতবার পাঠ করলে আল্লাহ তার সমস্ত সমস্যা সমাধান করে দেন। (আবু দাউদ)
সকালবেলা আল্লাহর জিকির, দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে দিন শুরু করলে দিনটি বরকতময় হয়। হাদিস অনুযায়ী, নিয়মিত এসব আমল করলে আল্লাহর রহমত ও কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।