তরুণদের অনুপ্রেরণা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জ্যাক ইয়াদেগারি
বয়স তখন আঠারোও হয়নি, এরই মধ্যে প্রযুক্তি-দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন জ্যাক ইয়াদেগারি। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এই তরুণ শৈশব থেকেই অনন্য সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়ে স্বল্প সময়ে পৌঁছে গেছেন সম্পদ ও স্বীকৃতির শীর্ষে। সাত বছর বয়সে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে বারো বছরেই তৈরি করেন প্রথম অ্যাপ। অল্প সময়ের মধ্যেই একটি অনলাইন গেমিং ব্যবসা বিক্রি করে দেন, যা তার দক্ষতার প্রথম বড় প্রমাণ। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসে ‘ক্যাল এআই’ নামের ক্যালরি-ট্র্যাকিং অ্যাপ তৈরি করে, যা ছবি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্যের ক্যালরি নির্ধারণ করে। এই অ্যাপ ইতোমধ্যে পাঁচ মিলিয়নেরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে এবং প্রতিবছর প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে বলে জানা যায়। নিউইয়র্ক পোস্টের তথ্য মতে, স্কুলজীবন শেষ হওয়ার আগেই তিনি এই বিপুল আয়ের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে সতেরোজনের একটি বিশ্বব্যাপী দল পরিচালনা করছেন, যারা একাধিক মহাদেশে ছড়িয়ে থেকে ক্যাল এআই-এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রেও তিনি সমান সফল। একাডেমিক ক্ষেত্রে অসাধারণ ফল করলেও আইভি লিগসহ স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি, ইয়েল প্রভৃতি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাখ্যাত হন, যা তাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে। বিনিয়োগ, উদ্যোগ এবং সৃজনশীল প্রকল্পে তার অবদান প্রমাণ করে যে, বয়স সাফল্যের পথে কোনো বাধা নয়Ñ যদি থাকে প্রতিভা, ধৈর্য এবং দৃষ্টি। জ্যাক ইয়াদেগারির জীবন হলো এক আধুনিক কিশোরের গল্প, যেখানে বয়সের সীমা ভেঙে প্রযুক্তি, উদ্যোগ এবং সাফল্যের এক অসামান্য কোলাজ গড়ে উঠেছে। স্বল্পবয়সে আয়, বিশ্বব্যাপী টিম পরিচালনা, গভীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং নিজের পৃথিবীকে আরও উন্নত করতে চাওয়াÑ এ সবই তাকে আজকের প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ষ গ্রন্থনা : জামিউর রহমান
আরও পড়ুন:
আউটলেট ম্যানেজার নিচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ