বাথরুমে অজুর দোয়া পড়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক
৩১ জুলাই ২০২৫, ১৩:৩৯
শেয়ার :
বাথরুমে অজুর দোয়া পড়া যাবে?

অজুর শুরু ও শেষে দোয়ার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। অজুর শুরুতে بِسْمِ ٱللَّٰهِ ‘বিসমিল্লাহ’ বলা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ আমল। কিন্তু বাথরুম ও টয়লেটের মাঝখানে যদি আড়াল না থাকে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ। কেননা টয়লেট নাপাক স্থান। ওখানে দোয়া-দরুদ, জিকির ইত্যাদি মহান আল্লাহর শান ও মর্যাদার পরিপন্থী। (দেখুন ইবনে মাজাহ: ৩০৩, সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৪১৩, মুসনাদে আবু ইয়ালা আলমুসিলি: ৩৫৪৩)

তাই আলেমদের পরামর্শ হলো- টয়লেট ও গোসলখানা একসঙ্গে হলে, দ্রুত আড়ালের ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ বাথরুমের কমোড ও গোসলখানার মাঝখানে পার্টিশন দেওয়া। এতে অজুর দোয়া পড়তে সমস্যা থাকে না, উপরন্তু আল্লাহর নামের মর্যাদা ও পবিত্রতাও রক্ষা হয়। কিন্তু পার্টিশন না থাকলে বাথরুম টয়লেটের বাইরের অংশ বিবেচিত হয় না। ফলে ওখানে যেকোনো জায়গায় আল্লাহর নাম নেওয়ার অর্থই হলো টয়লেটে আল্লাহর নাম নেওয়া। তাই আড়াল বা পার্টিশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে, ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে অজু শুদ্ধ হবে। মূলত দোয়া বা জিকিরের জন্য জায়গা পাক করে নেওয়াটাই দায়িত্ব। ফতোয়ার কিতাবে এসেছে, বাথরুমে যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয়, যার ফলে সেখান থেকে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা উক্ত স্থান পাক হয়ে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩৩৩)

তখন সেখানে অজু গোসল, দোয়া সবকিছু জায়েজ। যেমন রাসুলুল্লাহ (স.) জনৈক বেদুঈনের মসজিদে প্রস্রাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারি: ২১৯)

টয়লেট-গোসলখানার মাঝখানে পর্দার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আল্লাহর নামটা মর্যাদার খাতিরে মুখে না নিয়ে মনে মনে নেওয়াকে উত্তম বলেছেন অনেক আলেম। কেউ কেউ বলেছেন, যদি সম্ভব হয় অন্তত অজুর শুরুর অংশটি, যে অংশে দোয়া রয়েছে, বাথরুমের বাইরে করতে পারলে ভালো।

আল্লাহ তাআলা আমাদের আল্লাহর নামের মর্যাদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। একইসঙ্গে বাড়াবাড়ি থেকে বেঁচে থেকে শরিয়তের নির্দেশনা যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।