সাংবাদিকদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন মেঘনা আলম

আদালত প্রতিবেদক
৩০ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪২
শেয়ার :
সাংবাদিকদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন মেঘনা আলম

জব্দ হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইলে রাষ্ট্র বিরোধী কোনো উপাদান আছে কি, তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া আদালতের আদেশ মিথ্যা দাবি করে একাধিক সংবাদমাধ্যমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে মডেল মেঘনা আলম। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে কাউকে চাকরিচ্যুতির এবং কাউকে দিয়েছেন মামলার হুমকি। বিষয়টি সামনে আসে আজ বুধবার যখন মেঘনা আলম একাধিক গণমাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলার এক আদেশে তদন্ত কর্মকর্তাকে জব্দ করা আলামত বিষয়ে ফরেনসিক প্রতিবেদন দিতে বলেন।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মেঘনা আলম বলেন, ‘প্রতিবেদনে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রকৃত কার্যক্রম ও রায়কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এতে একাধিক তথ্যগত ভুল ও ‎বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা রয়েছে, যা জনমনে ‎অপ্রয়োজনীয় ভীতি সৃষ্টি করছে এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’ 

লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, আদালত মেঘনা আলমের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিত ‎ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কেন তার বৈধ মালিকানাধীন পাসপোর্ট, ফোন, ম্যাকবুক ও অন্যান্য জিনিসপত্র এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। ‎আদালত কোথাও মেঘনা আলমকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযুক্ত করেননি। বরং, তদন্ত কর্মকর্তাদের অনুরোধে বারবার তার জিনিসপত্র আটকে রাখার অজুহাত হিসেবে যে ফরেনসিক রিপোর্ট দেখানো হচ্ছে, তা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ‎প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‎লিগ্যাল নোটিশে মেঘনা আলম আরও উল্লেখ করেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল হয়রানি, ইচ্ছাকৃত মিথ্যা প্রচার, জনমনে ভীতি সৃষ্টি, একজন নাগরিকের ভাবমূর্তি ‎বিনা কারণে নষ্ট করা।অনতিবিলম্বে ওই প্রতিবেদন সংশোধন বা প্রত্যাহার, সংশোধনসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি অনলাইন ‎ও প্রিন্ট সংস্করণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ, আদালতের ২৯ জুলাইয়ের আদেশ অনুযায়ী মেঘনা আলমের পক্ষে রায় হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো অভিযোগ গৃহীত হয়নি—এই তথ্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। ব্যর্থ হলে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো সংশোধনী বা প্রতিকার না পাওয়া গেলে ডিজিটাল মানহানি, ভুয়া তথ্য প্রচার, জনবিশ্বাস ক্ষুন্ন করে আতঙ্ক ছড়ানো ও বাংলাদেশের নাগরিকদের আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানহানিকর উপস্থাপন করা হয়েছে তা তুলে ধরা হবে।

‎নোটিশে মেঘনা আলম বলেন, ‘মেঘনা আলমকে অবমূল্যায়ন করবেন না। ইতোমধ্যে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন এবং ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে তার দ্বারে এসেছেন। আপনি যদি সত্য ঘটনা তুলে ধরতে চান, তাহলে মিস আলমকে সরাসরি সাক্ষাৎকার নিতে পারেন, নথিপত্র পর্যালোচনা করতে পারেন এবং তার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে একটি ‎তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন লিখতে পারেন। একজন নির্যাতিত নারীর বিরুদইনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।