লাল চাঁদ হত্যার প্রধান আসামি মাহিনের দোষ স্বীকার

আদালত প্রতিবেদক
২০ জুলাই ২০২৫, ২০:২১
শেয়ার :
লাল চাঁদ হত্যার প্রধান আসামি মাহিনের দোষ স্বীকার

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মাহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

মাহিনকে প্রথম দফায় ৫ দিন (১০ জুলাই) এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ দিন (১৫ জুলাই) রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন আদালত। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট পাঁচ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। তারা হলেন সজিব ব্যাপারী, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ ও মাহমুদুল হাসান মাহিন।

অন্যদিকে, তারেক রহমান রবিন একই ঘটনার অস্ত্র মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে এই হত্যা মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। আরেক আসামি রাজিব ব্যাপারী রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। মো. নান্নু কাজী ও মো. রিজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসুও বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে আসে, তাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে, ইট-পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয় এবং হত্যার পর তার দেহের ওপর লাফিয়ে নাচানাচিও করা হয়। পরদিন গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এজাহারে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫–২০ জনকে আসামি করা হয়।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বহু বছর ধরে পুরান ঢাকার রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।