ছাত্রদলের ৩ নেতা জবি থেকে বহিস্কার, ২ নেতাকে নিষেধাজ্ঞা

জবি প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৩১
শেয়ার :
ছাত্রদলের ৩ নেতা জবি থেকে বহিস্কার, ২ নেতাকে নিষেধাজ্ঞা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ৩ নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বহিস্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন সাইফ, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা মুরসালিন ও বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪(মাস্টার্স সেশন) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমন। তারা সকলেই শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য। 

এছাড়া একই ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের দুই সিনিয়র নেতাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহমুদুল হাসান ও একই শিক্ষাবর্ষের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম। 

একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিজুল হাকিমকে সতর্ক করা হয়েছে ও তার নামে ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে কারণ দর্শানো ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ইমরান হাসান ইমন বলেন, ‘আমি ওইদিন ছিলাম। সবাইকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার সঙ্গে অনেক বড় ভাইয়েরাও ছিলেন। ওই সময় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো, সেটা থামানোর চেষ্টা করেছিলেন সবাই। কিন্তু এই দ্বায় নিয়েই যদি বহিষ্কার হই, সিন্ধান্তকে সাধুবাদ। আমি প্রশাসন ও আইন ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখি।’

 এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে জুলাইয়েতে তাকে লাঠি হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দেখা গেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিক বিন সাদেক শাখা ছাত্রলীগের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ সময় মারধরের ঘটনা ঘটলে সেখানে আসেন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম। তাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় ছাত্রদলের নেতকর্মীদের। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুকের সঙ্গেও তাদের বাগবিতণ্ডা ও মারমারি শুরু হয়।