সোহাগ হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি রিমান্ডে
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলায় আরও দুই আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া দুইজন হলেন মামলার ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মো. আলমগীর এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করেন। তবে শুনানির সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে একই মামলায় গত ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিন এবং গত ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় আসামি তারেক রহমান রবিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড শেষে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে যায়।
এর আগে গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহত লাল চাঁদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের এমন বিবরণ উঠে এসেছে।
এই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।
উল্লেখ্য, নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি