পুকুরে ডুবে আইসিইউতে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:২১
শেয়ার :
পুকুরে ডুবে আইসিইউতে ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় ফুটবল খেলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনের পুকুরে গোসল করতে যান ফুয়াদ। গোসলের এক পর্যায়ে আশপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা তার মাথা পানির নিচে এবং পিঠ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। কয়েক মিনিট পর বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন তারা।

প্রথমে ফুয়াদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে ইসিজি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তার ফুসফুসে পানি জমেছে। এরপরই জরুরি ভিত্তিতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সেখানে তার জ্ঞান ফিরে এলেও চোখে ঝাপসা দেখা এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না থাকায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

ফুয়াদের সহপাঠী ও পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী এলাহি মঞ্জুর ইমন বলেন, ‘চিকিৎসক তার ফুসফুসে পানি জমার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার পায়ে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। বর্তমানে তাকে আইসিইউতেই রাখা হয়েছে।’

ফুয়াদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, শরীর দুর্বল থাকায় খেলাধুলার পরে ক্লান্ত অবস্থায় পানিতে নামলে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়েই আমি দ্রুত হাসপাতালে যাই এবং আইসিইউসহ অন্যান্য বিষয় দেখভাল করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাশে ছিল। ফুয়াদ সাঁতার জানে, তবে ক্লান্ত শরীরে পানিতে নামার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।’

আজ মঙ্গলবার সকালে জানা যায়, ফুয়াদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন টেস্ট দিয়েছে। সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির ও পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফুয়াদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন।