লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা না দেওয়ার মামলায় আনিসুল হক রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক
০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৫
শেয়ার :
লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা না দেওয়ার মামলায় আনিসুল হক রিমান্ডে

সরকার নির্দেশ দেওয়ার পরও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা না দেওয়ার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রাজধানীর বনানী থানার এই মামলায় আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দিয়েছেন। 

এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক মো. ইয়াদুল হক পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত ও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ ব্যাপকভাবে প্রচারের পর আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিকটতম থানায় অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা করেননি। যেসব ব্যক্তি যাদের নিকটে থাকা অস্ত্র ও গুলি জমা করেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি অস্ত্র/গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে অদ্যাবধি প্রতিনিধির মাধ্যমে বনানী থানায় বা অন্য কোনো থানায় জমা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি কিংবা বনানী থানাকে অবহিত করা হয়নি। আনিসুল হকের অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লেখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী সময়ে ওই ঠিকানার আশেপাশে থাকা লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে আসামি বর্তমানে জেলহাজতে আটক রয়েছেন। আসামির বাসায় কেউ না থাকায় অস্ত্র জমার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের বিপরীতে আসামি কোন গুলি ক্রয় করেছে মর্মে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আগ্নেয়াস্ত্র একটি বনানী থানায় কিংবা অন্য থানায় জমা না দিয়া অস্ত্র আইনে অপরাধ করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের সার্থে অস্ত্রের অবস্থান নির্ণয় ও উদ্ধার করার নিমিত্তে অভিযান পরিচালনার জন্য আসামি আনিসুল হকের পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাওয়ার একান্ত প্রয়োজন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক (দিদার) আসামির জামিন বাতিলপূর্বক রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বিভিন্ন মামলায় তিনি রিমান্ডে গেছেন। প্রায় অধ্যশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।