জাবিতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলেন বিজনেস অনুষদের ডিন
পক্ষপাতদুষ্ট, অগণতান্ত্রিক আচরণ, ন্যায়বিচারহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও শোষণের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিগার সুলতানার পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. আজিজুর রহমান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীরা ডিন অধ্যাপক নিগার সুলতানার পদত্যাগ চেয়ে তার উদ্দেশে এক চিঠিতে লিখেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন হিসেবে আপনার কার্যক্রম এবং অবস্থান ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আপনার পক্ষপাতদুষ্ট এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ ব্যবসা শিক্ষা অনুষদকে কলুষিত করেছে। আপনার নেতৃত্বে অনুষদের পরিবেশ ন্যায়বিচারহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও শোষণের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যে, আপনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিনের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এই সময়সীমার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সর্বাত্মক গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অধ্যাপক নিগার সুলতানা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত। তার স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিক আচরণ, দুর্নীতি ও অবিচারের কারণে অনুষদটি কলুষিত হয়েছে। আমরা তার পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তিনি ওই সময়ের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন।’
শিক্ষার্থীদের দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন অধ্যাপক নিগার সুলতানা।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি তার পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। উপাচার্য ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন। তিনি এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
উল্লেখ্য, শনিবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম সিনেট অধিবেশনে যোগ দেন অধ্যাপক নিগার সুলতানা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সিনেট সভাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।