সাবেক এমপি মৃণাল কান্তির ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আদালত প্রতিবেদক
২৫ জুন ২০২৫, ১৭:২০
শেয়ার :
সাবেক এমপি মৃণাল কান্তির ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নিলীমা দাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের পৃথক দুই মামলায় আজ বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারি পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, দুদক গোপন সূত্রে জানতে পেয়েছে মৃণাল কান্তি দাস এবং নিলীমা দাস গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভবণা রয়েছে। এ জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

গত ১৮ মার্চ মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নীলিমা দাসের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক মামলায় তারা দুইজনই আসামি। আরেকটিতে মৃণাল কান্তি দাস একা আসামি।

মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ।

মৃণাল কান্তি দাসের মামলায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার আটটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা জমা এবং ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা তোলাসহ মোট ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের অভিযোগ, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে সাবেক এমি মৃণাল কান্তি এসব সম্পদ ‘রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন।'

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মামলায় অভিযোগ, নীলিমা দাস তার স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন।

এছাড়া, ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা জমা এবং ৮ কোটি ছয় লাখ টাকা তোলাসহ মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করতে তিনি এই সম্পদ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।