আনিস-মোশাররফ-চাখারী রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক
১৮ জুন ২০২৫, ১৪:৫৬
শেয়ার :
আনিস-মোশাররফ-চাখারী রিমান্ডে

জুলাই আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাঁচ দিনের এবং হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আজ বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

জুলাই আন্দোলনে মনির হত্যা মামলায় আনিসুল হকের এবং ২০২৩ সালে পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অপর দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মনির হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক।

আর মোশাররফ হোসেন এবং বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পল্টন মডেল থানার এসআই বিমান তরফদার।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানিতে বলেন, আসামি আনিসুল হক ও মোশাররফ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ মন্ত্রী এবং অপরজন সহযোগী। এজাহারনামী আসামি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আনিসুল হকের পক্ষে ব্যারিস্টার সুমন হোসেন বলেন, ‘আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আইন অনুযায়ী আপনি যা ভালো মনে করেন।’ পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মোশাররফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী তানভীরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। বাবুল সরদার চাখারীর পক্ষে আইনজীবী শুনানি করেননি।পরে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।

মোশাররফ হোসেন এবং বাবুল সরদার চাখারীর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল মহাসমাবেশের ডাক দেয়।

ভুক্তভোগী গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনও সমাবেশে অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে সায়মন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন তিনি। 

এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।