কুয়েতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের পশু বেচাকেনা
মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি, কুয়েত, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে আগামীকাল শুক্রবার পালিত হবে ঈদুল আযাহ। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুয়েতে পশুর হাটের বেচাকেনা। প্রবাসীদের বাসা বাড়ীতে লালন পালনে ব্যবস্থা না থাকাতে কুরবানীর পশু কিনে খামারে রেখে আসতে হয় কুরবানির পশু। যার কারণে ঈদের আগেই কুরবানির পশু কিনেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
কুয়েতের কাবাদ, সেবদি, জাহারা, আবদালিসহ সরকারিভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু বেচাকেনা হয়।
এখানে পাওয়া যাচ্ছে কুয়েত, সৌদি, ইরান, সোমালিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দুম্বা গরু ও ছাগল। তবে, এর সংখ্যা সেটা তুলনামূলক অনেক কম। এখানকার পশুগুলোর মালিক কুয়েতি হলেও পরিচর্চা ও বেচাকেনা করেন বেশিভাগ বাংলাদেশি ও মাসরী নাগরিক ।
কুয়েতে উটের চেয়ে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। দেশ ও সৌন্দর্য্য অনুসারে গরু আড়াইশো দিনার থেকে শুরু করে ১৫শ দিনারে বিক্রি হয়। দুম্বা বিক্রি হয় ৮৫ দিনার থেকে ২৫০ কুয়েতি দিনারে। উট বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ দিনার।
বাংলাদেশের মতো যেখানে সেখানে পশু রাখার অনুমতি নেই কুয়েতে। তাই সবাই চেষ্টা করেন ঈদের আগের দিন বিকেলে কিংবা ঈদের দিন সকালে পশু নিয়ে যেতে। অনেকে আবার চার পাঁচদিন আগে কিনলেও খামারে রেখে যান। প্রবাসীরা পরিবার ছাড়া কোরবানি করলেও অনেকে বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন কিংবা রুমমেটদের নিয়ে পশু কুরবানী দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার