পর্তুগালে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশির মামলা দায়ের
অবৈধ কাজের বিজ্ঞাপন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পন্থায় লাইসেন্স নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ও সম্মানহানিমূলক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করায় গতকাল শুক্রবার পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল আহমেদ ১০টির অধিক পর্তুগাল প্রবাসীদের গ্রুপ এডমিনদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন সময়ে পর্তুগালের এই গ্রুপগুলোতে পর্তুগালে বসবাস করা বাংলাদেশীদের মধ্যে সামাজিক রাজনৈতিক এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য প্রণীত হয়ে সম্মানহানিকর বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করা হয়েছে।
তথ্যনুযায়ী, গত বুধবার পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল আহমেদকে জড়িয়ে মানহানিকর ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা একটি পোস্ট করা হয়। সেই একই পোস্ট বিভিন্ন গ্রুপেও ছড়িয়ে দেয় একটি কুচক্রী মহল।
সম্প্রতি সময়ে পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে অপপ্রচার মানহানিকর বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়ে আসছে একটি কুচক্রী মহল। ফলে এ বিষয়টির সাধারণ প্রবাসীদের মনেও উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন, যা তদান্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি রনি মো. জানান, শুধু সম্মানিত ব্যক্তিবর্গদের নিয়েই নয় বরং অবৈধ ব্যবসা, অবৈধ বিজ্ঞাপন, ফেক ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন অপকর্মমূলক পোস্ট এসব গ্রুপে প্রচার করা হয়। যার ফাঁদে পড়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই গ্রুপ এডমিনদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পর্তুগালের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি তাদের পরিচয় চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবিও জানান তিনি।
মামলার আইনজীবী এডভোকেট মিগেল তাভারেস কারবালো বলেন, ‘মামলাটি করা হয়েছে ১১৩ ১১৫ ১১৭ ধারাতে। মানহানিমূলক অপপ্রচার বিরুদ্ধে করা হয়েছে এ মামলাটি।’
এ সময় ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাসেল আহমেদ সঠিক বিচার পাবেন বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পর্তুগাল পুলিশ (পিএসপি) কাছে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার মামলা নম্বর ২০১৫৪৫/২০২৫।’
আরও পড়ুন:
২৪ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪৯ কোটি ডলার
এডভোকেট মিগেল তাভারেস কারবালোর সহকারি শাহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘ইতোমধ্যে অবৈধ কাজে জড়িয়ে থাকার অপরাধে আমাদের অনেক বাংলাদেশিরা পর্তুগালের জেলখানাতে আছেন। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে জালিয়াতিমূলক বিভিন্ন কাজ বিভিন্ন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছে পর্তুগাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য লজ্জার। আমাদের উচিত পর্তুগালে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।’
যারা অপরাধী, তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় না দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের নাম প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি।
