ইন্টার্নশিপে দেশের বাইরে যাচ্ছেন ২০ শিক্ষার্থী

বাকৃবি প্রতিনিধি
২১ মে ২০২৫, ১৫:০০
শেয়ার :
ইন্টার্নশিপে দেশের বাইরে যাচ্ছেন ২০ শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক পশুপালন অনুষদের ২১তম ব্যাচের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর ১৭০ জন শিক্ষার্থী এই ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে দেশের বাইরে ২০ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ করতে যাচ্ছেন। জার্মানিতে ২ জন, জাপানে ২ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ২ জন, থাইল্যান্ডে ৭ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশে ইন্টার্নশিপের প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছেন। বাকি ১৫০ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০টি স্থানে ইন্টার্নশিপে অংশ নেবেন।

আজ বুধবার সকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অভিজিৎ সাহা অপু অতিথির বক্তব্যে এই তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে ওই অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাল তীর লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. কাজী মো. ইমদাদুল হক, ইয়ন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিন উদ দোলা এবং আমান পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আজিজ। এছাড়াও অনুষদের শিক্ষক, ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ড. কাজী মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘জীবনে সফল হতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। শিক্ষাগ্রহণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিনে কী শিখেছেন তা বড় কথা নয়, বরং আপনি শিখতে আগ্রহী কি না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারিগরি জ্ঞান বই পড়ে শেখা যায়, কিন্তু সামাজিক জ্ঞান অর্জন করতে হলে সমাজের মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে।’

অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘তোমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি না, পশুপালন অনুষদেরও প্রতিনিধি। কারও সঙ্গে এমন আচরণ করবে না, যাতে সে কষ্ট পায় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হয়। সবসময় সুপারভাইজারের নির্দেশনা মেনে চলবে এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করবে।’

বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘ইন্টার্নশিপ হলো জীবনের একটি পরিবর্তন। এর মাধ্যমে তোমাদের পেশাগত জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারবে, কৃষকের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে শিখবে। জীবনে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। ফাঁকি দিয়ে সার্টিফিকেট পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু জীবনে প্রকৃত সাফল্য অর্জন করা যাবে না। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হওয়া উচিত নিঃস্বার্থ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ। একজন শিক্ষার্থী ভাইবা বোর্ডে টুপি পরে আসুক বা হিজাব পরে আসুক, তাতে কিছু আসে যায় না। সব শিক্ষার্থীকে সন্তানের চোখে দেখতে হবে।’