স্বামী অনুমতি না দিলে হজ করা যাবে?
হজ ইসলামের ফরজ বিধান। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
নারী হোক বা পুরুষ, হজের সামর্থ্য থাকলে হজ করতে হবে। হজের সামর্থ্য বলতে বোঝায়, কোনো ব্যক্তির হজ করে নিজ দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত নিজের যাবতীয় খরচ ও পরিবারে অধীনস্থদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা থাকা। নারীদের ওপর হজর ফরজ হওয়ার ক্ষেত্রে হজের সফরে মাহরাম সঙ্গে থাকা এবং ওই মাহরামের প্রয়োজনীয় খরচ থাকাও জরুরি। কেবল নিজের হজ করার সামর্থ্য থাকলেও নারীর ওপর হজ ফরজ হয় না। তবে, মাহরাম যদি ফরজ হজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে গেলে খরচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। (বাহরুর রায়েক: ২/৩৩৯)
স্বামী যদি ধর্মীয় অজ্ঞতার কারণে স্ত্রীর সঙ্গে সফর না করে বা তাকে হজের অনুমতিও না দেয়, তাকে প্রথমে হজের ফরজিয়ত সম্পর্কে বোঝাতে হবে এবং রাজী করানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবেই তাকে রাজী করানো সম্ভব না হলে অন্য মাহরাম যেমন ভাইকে সঙ্গে নিয়ে হজ করতে হবে। মূলত ফরজ হজ আদায়ের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন:
কামড়ে স্বামীর কান ছিঁড়ে নিলেন স্ত্রী
হজ করা আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। আল্লাহর নির্দেশ মান্য করাই ফরজ। কোনো নারীর ওপর হজ ফরজ হলে স্বামীর উচিত নয়, তাকে হজ করতে বাধা দেওয়া। তবে নফল হজ কিংবা ওমরা আদায়ের জন্য সফর করতে চাইলে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া অন্য মাহরামের সঙ্গে যাওয়া যাবে না।