জুমার দিনে ৮০ বছরের গুনাহ মাফের আমল
ইসলামে শুক্রবার বা জুমাবারের রাত-দিনকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। হাদিসে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে।
আল্লাহতায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ- জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা-০৯)।
রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিচের দরুদ শরিফটি পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব আমলনামায় লেখা হবে।’ (আফদালুস সালাওয়াত-২৬)
আরও পড়ুন:
কোন সময় দোয়া করলে বেশি কবুল হয়?
আরবি উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা।’
এ ছাড়া হজরত আবু হুরায়রা (র.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময় যদি কেউ নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এর পর রাসুলুল্লাহ (স.) হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি-৬৪০০)
আরও পড়ুন:
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন
অন্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, সেই সময়টি আসরের পর। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (র.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তা হলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।’(আবু দাউদ-১০৪৮)
আরও পড়ুন:
চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল