যেসব আমলের জন্য অজু অপরিহার্য

ধর্ম ডেস্ক
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:১১
শেয়ার :
যেসব আমলের জন্য অজু অপরিহার্য

অজু পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। অজুর আভিধানিক অর্থ- সৌন্দর্য, পরিষ্কার ও স্বচ্ছতা। শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে নির্দিষ্ট অঙ্গসমূহে পানি ব্যবহার করাকে অজু বলে। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজু তিন প্রকার—ফরজ, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব।

চার কারণে অজু করা ফরজ

১. নামাজ আদায়ের জন্য, যদি নফল নামাজও হয়। (বুখারি: ১৩২) 

২. জানাজার জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 

৩. সেজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 

৪. পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা দেয়াল, কাগজ, টাকা—যেটাই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/১১৩) 

যে কারণে অজু করা ওয়াজিব

১. শুধু একটি বিষয়ের জন্য অজু করা ওয়াজিব। তা হলো- কাবা ঘরের তাওয়াফ করা। (তিরমিজি: ৮৮৩) যখন অজু করা মোস্তাহাব

১. পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি: ২৩৯) 

২. ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মোস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নত (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৫৮৫) 

৩. সবসময় অজু অবস্থায় থাকার জন্য। (ইবনে মাজাহ: ২৭৩) 

৪. সওয়াবের নিয়তে অজু থাকা অবস্থায় অজু করা। 

৫. গিবত ও মিথ্যা কথার আশ্রয় নেওয়ার পর। (মুসলিম: ৩৬০) 

৬. মন্দ ও অশ্লীল কবিতা পাঠের পর। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/১৩৫) 

৭. নামাজ ছাড়া অন্য অবস্থায় অট্টহাসি দেওয়ার পর। (মুসনাদে আহমদ: ৯৩০১) তবে নামাজে অট্টহাসি দিলে অজু ভেঙে যায়। (দারাকুতনি: ৬১৫) 

৮. মৃতকে গোসল দেওয়ার পর। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ১৫১৬) 

৯. মৃতের লাশ ওঠানোর জন্য। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ১৫০৩) 

১০. প্রতি নামাজের জন্য নতুন অজু করা। (মুসনাদে আহমদ: ৭৫০৪, বুখারি: ২০৭) 

১১. ফরজ গোসল করার আগে। (বুখারি: ২৪০) 

১২. গোসল ফরজ হয়েছে, এমন ব্যক্তির খাওয়া, পান করা ও ঘুমানোর আগে। (মুসলিম: ৪৬১) 

১৩. রাগের সময়। (আবু দাউদ: ৪১৫২) 

১৪. কোরআন তেলাওয়াতের সময়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি: ৪৩৫) 

১৫. হাদিস পড়া ও বর্ণনা করার সময়। (আদাবুল উলামা ওয়াল মুতাআল্লিমিনি: ১/৬) 

১৬. ইসলামি জ্ঞান অর্জনের সময়। (তিরমিজি: ২৭২৩) 

১৭. আজান দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/২১১) 

১৮. ইকামত দেওয়ার সময়। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১/২১১) 

১৯. খুতবা দেওয়ার সময়। (তিরমিজি: ২৭২৩) 

২০. মহানবী (স.)-এর কবর জেয়ারতের সময়। (সুরা নিসা: ৬৪) 

২১. অকুফে আরাফা তথা আরাফায় থাকা অবস্থায়। (বুখারি: ১৪২৪) 

২২. সাফা ও মারওয়ায় সায়ি করার সময়। (বুখারি: ১৫১০)