অবৈধ সম্পদের মামলায় রাজউকের পিয়নের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগদ পরিকল্পনা শাখার সাবেক এমএলএসএস দেলোয়ার হোসেন সিকদারের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামির জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর রায়ে তথ্য গোপনের অভিযোগে আসামির দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অবৈধভাবে অর্জিত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামি মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
দেলোয়ার হোসেন সিকদার চাঁদপুরের কচুয়া থানার কাদিরখিল গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা থেকে জানা যায়, দেলোয়ার হোসেন সিকদার তার নিজ নামীয় ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৭ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং তিন লাখ ৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৭ টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এদিক সম্পদ বিবরণী যাচাই করে দুদক এক কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ২৪২ টাকার সম্পদ পায়। এসব সম্পদের বিপরীতে তার ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক। পরে দেলোয়ার হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০১৯ সালের ৭ মে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপসহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের তৎকালীন সহকারি পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান।
২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি