ইয়াঙ্গুনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রবাস ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৫, ১৭:১৭
শেয়ার :
ইয়াঙ্গুনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. এম মনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘুরে দাড়ানোর সক্ষমতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অদূর ভবিষ্যতে এদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করবে।’

২৬ মার্চ ২০২৫ বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন-এর আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা। দ্বিতীয় অংশে একটি বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মিয়ানমার সরকারের ইউনিয়ন মিনিস্টার ফর গভর্নমেন্ট অফিস-২, অভিবাসন মন্ত্রী, উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী, উপ-বাণিজ্য মন্ত্রী, ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী সহ ৫ জন মন্ত্রী এবং ইয়াঙ্গুন সিটি মেয়র অংশগ্রহণ করেন। 

২৬ মার্চ ২০২৫ সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুনের লোট্টে হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ছিল মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু। শতাধিক রাষ্ট্রদূত/কূটনীতিক, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের প্রধানগণ, মিয়ানমার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ এবং দূতাবাসের সদস্য-সহ তিন শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমহারানো নারী এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সংকটে বাংলাদেশ যে সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে তা তুলে ধরেন। 

এ ছাড়া তিনি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক খাতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশকে শিগগিরই একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হবে। রাষ্ট্রদূত সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান। 

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর, দূতাবাস কর্তৃক নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দিক এবং গত দুই বছরে দূতাবাসের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পরে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়, যা অতিথিদের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। সৃজনশীল মঞ্চসজ্জা ও নান্দনিক পরিবেশ অতিথিদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবারে নৈশভোজের আপ্যায়ন করা হয় যা আমন্ত্রিত অতিথিরা দারুণ উপভোগ করেন। অতিথিদের বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত চামড়ার তৈরি একটি ব্যাগ/ওয়ালেট শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ মার্চ ২০২৫ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করে এবং এ উপলক্ষে দূতাবাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।