রোজা অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে করণীয় কী?

ধর্ম ডেস্ক
১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:০৮
শেয়ার :
রোজা অবস্থায় ঋতুস্রাব শুরু হলে করণীয় কী?

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘লোকেরা তোমাকে ঋতু সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছে। বলো, ‘তা অশুচি’। কাজেই ঋতুকালে স্ত্রী-সহবাস থেকে বিরত থাক এবং যে পর্যন্ত পবিত্র না হয়, তাদের কাছে যেয়ো না। যখন পবিত্র হবে, তখন তাদের সঙ্গে সহবাস করো, যেভাবে আল্লাহ অনুমতি দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন আর পবিত্রতা অবলম্বীদেরও ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২) 

রোজা অবস্থায় কোনো নারীর ঋতুস্রাব (হায়েজ) ও প্রসবোত্তর স্রাব (নিফাস) শুরু হলে রোজা ভেঙে যাবে। দিনের বাকি সময় তার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক নয়; বরং এক্ষেত্রে সে পানাহার করতে পারবে। তবে প্রকাশ্যে পানাহার না করা ভালো। খাবার ও পানি গ্রহণের এ বিরতি রোজা হিসেবে নয়; বরং তা রোজার সম্মানার্থে করতে হবে। হজরত আতা (রহ.) বলেছেন, ‘কোনো নারীর রমজান মাসে দিনের শুরুতে মাসিক শুরু হলে সে পানাহার করতে পারবে।’ (মুসন্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ৯৪৩১; ফাতাওয়া খানিয়া, ১/২১৮; আলমুহিতুর রাজাবি, ২/৩৪)

হায়েজ ও নিফাসের সময়গুলোতে নামাজ ও রোজা রাখা নিষেধ। নামাজ পুরোপুরি মাফ হয়ে যায় এবং পরে কাজা করতে হয় না। কিন্তু রোজা সাময়িকভাবে বাদ হয় এবং পরে রোজার কাজা আদায় করে নিতে হয়। একবার আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর নারীরা কি নামাজ ও রোজার কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন, এ অবস্থায় আমাদের রোজার কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে নামাজের নয়।’ (বুখারি)

এ অবস্থায় নারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন, সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে পারবেন। রোজা না রাখতে পারলেও ইফতার তৈরি, দোয়া-দরুদ, জিকির-আজকারসহ সবকিছু স্বাভাবিকভাবে করবেন। সাহরি-ইফতারেও শরিক হতে পারবেন।