শাজাহান খান, রাডো ও আবুল হোসেন রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে, লালবাগ থানায় মাদরাসা ছাত্র শাহেনুর রহমান হত্যা মামলায় চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী সিরাজুল ইসলাম রাডো এবং কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন সরকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
শাহজাহান খানের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন উত্তর বাড্ডা বিসমিল্লাহ হোটেলের পাশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন রফিকুল ইসলাম। সেখানে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিহতের মামা পরিচয়ে লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর একাধিক হত্যা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রাডো ও আবুল হোসেনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অসুস্থ, বয়স্ক বিবেচনায় তাদের রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।
পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান সিরাজুল ইসলাম। তবে আদালত অনুমতি না দিলেও কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি আহত হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে ইন্ডিয়াতে চিকিৎসা করিয়েছেন।’
কথার মাঝে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ১২ মার্চ এ মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যান। এর একদিন পর গত বছরের ৬ আগস্ট ভোরে লালবাগ থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় বিজয় মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। ওই মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি চালালে মাদরাসাছাত্র শাহেনুর রহমান (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মো. মাজেদুল ইসলাম লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
