সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল দুই দিনের রিমান্ডে
নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আজ তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সাবেক সিনিয়র আইসিটি সচিব জিয়াউল আহসানকে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
গ্রেপ্তারের পর পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের সহযোগিতায় সিআইডি টিম পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় এনএম জিয়াউল আলমের আত্মীয় ডা. হাবিবের বাসা থেকে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানা থেকে সিআইডির টিম ঢাকায় নিয়ে গেছেন। ’
এর আগে গত বছর ৯ অক্টোবর ১১ কোটির বেশি মানুষের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সেই মামলার এজাহার নামীয় আসামি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডির তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। এ সব তথ্য দেশি-বিদেশি প্রায় ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।