সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি /

‘কুয়েটে উত্তেজনা ও সহিংসতা অত্যন্ত দুঃখজনক’

অনলাইন ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৬
শেয়ার :
‘কুয়েটে উত্তেজনা ও সহিংসতা অত্যন্ত দুঃখজনক’

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বিকসু (কুয়েট ছাত্র সংসদ) নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, ‘কুয়েট সবসময় একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিত।কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে ক্যাম্পাসে যে উত্তেজনা ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

কুয়েট ছাত্র সংসদের সাবেক ২৭ জন নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষর সম্বলিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা মেধাবীদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই, কুয়েট ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময়ই সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী। অতীতেও বিএনপি সরকারের আমলে কুয়েট কখনো সহিংসতা বা অরাজকতার কারণে এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। বরং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ছাত্রসমাজের আস্থাভাজন হয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বারবার পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে।’ 

‘কিন্তু দুঃখজনকভাবে ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর আমরা লক্ষ্য করছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এবং ছাত্রশিবির বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করছে। আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি, ওইদিনের ঘটনাকে উসকে দিয়েছে এই দুটি পক্ষ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পতিত হাসিনার লাঠিয়াল হিসেবে পরিচিত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। তাদের পরিকল্পিত উসকানির ফলেই শান্তিপূর্ণ ফরম বিতরণ কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদ করলে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাটেও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়’, বলেন নেতৃবৃন্দ। 

তারা আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে সুযোগ সন্ধানী গুপ্ত সংগঠন ছাত্রশিবির ও পলাতক ফ্যাসিস্টের দোসররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর হামলা করে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার মতো নজিরবিহীন এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়ে সমগ্র ছাত্র সমাজের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে।’ 

এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সাবেক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাই-ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’ 

তারা আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হবে এবং অপরাধীরা চিহ্নিত হয়ে শাস্তির আওতায় আসবে। এর মাধ্যমে কুয়েট আবারও তার স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে যাবে।’

সকল পক্ষকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আশা করি, শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থেই সকলে মিলে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস গড়ে তুলবে।’