গণ-অভ্যুত্থানে ঢাবির সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন: হাসনাত আবদুল্লাহ
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংবাদিকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
গতকাল বুধবার রাতে ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিডিয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার সুযোগ হয়েছে। ১৭ জুলাই যখন আমাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন বাধ্য করা হয়- আন্দোলনকে বন্ধ করে দিয়েছি এরকম একটা বক্তব্য দিতে। সেসময় আমার চোখের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা কীভাবে মিডিয়াগুলোতে ফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করত, তা দেখেছি। সংবাদের শিরোনাম কী হবে, বক্তব্যটা কী হবে, তা নির্ধারণ করে দিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতেও আমি দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছে। সেজন্যে সবসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।’
দেশের গণমাধ্যমগুলোর বিষয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমার বিগত ছয়মাসের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা খুবই কঠিন। খুব নিকট ভবিষ্যতে এটা সম্ভব না। আমাদের দেশের সাংবাদিকতা নিজস্ব কোনো ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয় নাই। মিডিয়া হাউজগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। অর্থাৎ ওই কোম্পানির স্বার্থ-সন্তুষ্টি দেখে। মালিক যেটা শুনতে চায়, সেটাই আগামীদিনের পত্রিকায় আসে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।