তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের মহাখালী সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৮
শেয়ার :
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের মহাখালী সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও)

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’র অংশ হিসেবে গুলশান-মহাখালী সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে কলেজ গেটের সামনে মহাখালী-গুলশান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এর আগে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের এক দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আজ তাদের ১১ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ ও কলেজ শাটডাউন কর্মসূচি রয়েছে। কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন।

এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে যাতায়াতকারীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে সর্বাত্মক অবরোধ ও শাটডাউন কর্মসূচি করার কথা ছিল তাদের। তবে এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহাখালী আমতলী মোড়, রেলক্রসিং, গুলশান-১ গোলচত্বর কোথাও অবরোধ করতে দেখা যায়নি। তবে ১২টা ২০ মিনিটের পর থেকে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

যদিও কলেজ ফটকে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, স্বরসতী পূজার কারণে শাটডাউন কিছুটা শিথিল রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা মহাখালী আমতলী মোড়ে মিছিল নিয়ে যান এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সেখানে দেখা যায়নি।

এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা বলেন, বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবরোধ করা হবে। রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিংয়ে রেলপথ, আমতলী মোড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, মহাখালী-গুলশান এবং গুলশান লিংক রোডে সর্বাত্মক অবরোধ করা হবে।

এছাড়া কলেজে সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি করা হবে। কাউকে কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, বের হতেও দেওয়া হবে না। ক্লাস, অফিস সব বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, শুধু তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা চিন্তা করছি সাতটি কলেজকে একত্রিত করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করা যায় কি না। এ নিয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে।