অস্ত্রের পর মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আদালত প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:১২
শেয়ার :
অস্ত্রের পর মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার পর এবার মাদক আইনের মামলার চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেছেন আদালত।একই সঙ্গে জামিনে থাকা এ আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মমহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার এই আদেশ দেন।

এর আগে, ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়া গত ১৬ জানুয়ারি অবৈধ অস্ত্র আইবের মামলায় একই আদেশ দেন।  

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।

ওই বছর ৭ অক্টোবর বিকেলে র‍্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদি হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে ২ টি মামলা করেন। পরবর্তীতে দুদকও তার বিরুদ্ধে মামলা করে। আর সিআইডি করে মানিলন্ডারিং আইনের মামলা।

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং এনামুল হক আরমান। ছবি: সংগৃহীত

এরপর ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অর্থ পাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকার পৃথক দুটি আদালত থেকে জামিন পান ইসমাইল হোসেন। পরদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে জামিন দেন আদালত। এবং ওই বছর ১২ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ইসমাইল হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। ওই দিনই তিনি কারামুক্ত হন।

এরপর গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তবে কোনো মামলারই বিচার শুরু করতে পারেননি আদালত। আর গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পলাতক হন। ক্যাসিনো–কাণ্ডে গ্রেপ্তার সম্রাট প্রায় আড়াই বছর কাগজে কলমে কারাগারে থাকলেও তিনি মূলত হাসপাতালে ছিলেন।