গণ অনশনে জবির ১২ শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে গণ অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিতে অটল থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তারা।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে তারা এই গণ অনশনে বসেন।
এ সময় জবি গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, ‘২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তাই আমরা গণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র সুকুল বলেন, ‘অস্থায়ী আবাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে যেকোনো মূল্যে। আমরা লাল ফিতার দৌরাত্ম দেখতে চাই না, চিঠি বিলির কাহিনী আর শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব উল ইসলাম বলেন, ‘জবির ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার, অনুগ্রহ নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সীমাহীন জায়গা সংকট, অবকাঠামোর ঘাটতি, আবাসন সমস্যায় ভুগছি। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এবং জনবহুল পরিবেশে শিক্ষার মৌলিক চাহিদাগুলো কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু গত দুই দশকে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবায়ন নয়।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো-সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে; যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন,‘আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।’