কামরুল ইসলাম ৪ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে, আজ সকালে কারাগারে থেকে কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস তার ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই মামলায় ২ দিন করে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ একজনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।
মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়।