আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনে বাসাবাড়ির ছাদ ও ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর বাসা-বাড়ির ছাদ ও সব ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান এ রিট দায়ের করেন।
রিটে জনসমাগম ও আতশবাজি ঠেকাতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান বলেন, রিটে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
পাশাপাশি ওই দিন আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এদিকে, এবার ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।