থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে যে বার্তা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়, এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। পাশাপাশি নতুন বছরের আয়োজনে কোনো দুর্ঘটনা ও উদযাপনের নামে আতঙ্ক চান না বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতি পূজারীরা বছরের প্রথম দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠত। অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা।’
আরও পড়ুন:
কোন সময় দোয়া করলে বেশি কবুল হয়?
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনার বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। ধ্বংস হয়েছে সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা। বিপন্ন হয়েছে শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন। বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?’
আরও পড়ুন:
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন
‘আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত’, যোগ করেন ইসলামী এই আলোচক।
নতুন বছরে কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে চান না জানিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ফানুসের আগুন, শব্দদূষণ, পশুপাখি ও বৃদ্ধ-শিশুদের আতঙ্কমুক্ত একটি নতুন বছরে প্রবেশ করতে চাই।’
আরও পড়ুন:
চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল