ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়েছে, আদালতে পলক
কারাগারে ডিভিশন না দিয়ে কমডেম সেলে ফাঁসির আসামির সঙ্গে রাখা হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। আজ সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় রিয়াজুলকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানির সময় পলককে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পলক নিজে কিছু বলতে চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে তিনি ডিভিশন পাচ্ছেন না। ৫ হাত লম্বা ৪ হাত চওড়া সেলে তাকে রাখা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না। এ কারাগারে বেশিরভাগ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে।’
এ সময় আদালত পলককে অভিযোগটি লিখিত আকারে দাখিল করতে বলেন। পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইসলাম রাখি জানান, জুনায়েদ আহমেদ পলক আজ আদালতে তার ব্যক্তিগত মতামত পেশ করেছেন। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, তাকে ডিভিশনে না রেখে নরমাল কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হয়েছে। যে সেলে সব ফাঁসির আসামি রয়েছে। সেখানে দুই হাজার আসামির মধ্যে ১৫০০ জন আসামি রয়েছে যারা ফাঁসির আসামি। এমন ধরনের একটা জায়গায় তাকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৭ অক্টোবর তিনি ডিভিশন প্রাপ্ত হন। ডিসির কাছ থেকেও অনুমোদন পান। তিনি ডিভিশনেও ছিলেন। পরে কাশিমপুর নিয়ে যাওয়ার পর হাইসিকিউরিটির ৪ নম্বর সেলে তাকে রাখা হয়েছে। যেখানে কোনো ধরনের ডিভিশন নেই। শারীরিকভাবে তিনি অনেক অসুস্থ। ডিভিশনাল সেলে সুযোগ সুবিধা না থাকার ফলে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে ও অনিরাপত্তার মাঝে জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচরে আনা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন। সবকিছু পর্যালোচনা করে ডিসিশন দিবেন আদালত।
ফারজানা ইসলাম রাখি জানান, ওখানে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি যেহেতু রয়েছে, তাদের ব্যাকরাউন্ড আসলে অনেক ভয়ংকর থাকে। অনেকে আছে এর মধ্যে জঙ্গি। এ ধরণের জঙ্গিদের সঙ্গে তাকে এক জায়গায় রাখা হয়েছে। তিনি অনিরাপত্তায় ভুগছেন। আর একটা বিষয় সপ্তাহে প্রত্যেক আসামি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকে। এখানে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাকে তার পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ফোনে যোগাযোগের ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়েছে। যদি রেজাল্ট না আসে তাহলে অবশ্যই লিখিতভাবে জানানো হবে।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি