সাগর-রুনি হত্যা /
১১৩ বারেও এলো না প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১১৩ বারেও না আসায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের পর গত সাড়ে ১২ বছরে সিএমএম আদালত এ তারিখসমূহ ধার্য করেন।
এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। ওই বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্তভার পড়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর রবিউল আলমের ওপর। দুই মাসের মতো ডিবি তদন্তের পর হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ২০ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে র্যাব।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলায় র্যাবের প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন র্যাব হেডকোয়াটারের সিনিয়র রহকারী পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহ। তিনি প্রায় ২ বছর এ মামলায় তদন্ত করেন। এরপর র্যাবের আরও পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলা তদন্ত করেন। সর্বশেষ র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভুইয়া। তিনি ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
কিন্ত গত এক যুগে র্যাব এ মামলার কোন সুরাহা করতে না পারায় চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত র্যাব থেকে সরিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে তার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। ওই ৪৮ ঘণ্টা এখন সাড়ে ১২ বছরে পরিণত হলেও ফলাফল শূন্য।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হন। যাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে আছেন।