আমুর আইনজীবীকে মারধর, দোষীদের খুঁজতে নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক
১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৬
শেয়ার :
আমুর আইনজীবীকে মারধর, দোষীদের খুঁজতে নির্দেশ

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোস্তাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্তে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলেছেন।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আদালতের নির্দেশে বলা হয়, গত ৭ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-৯ এর এজলাস কক্ষে আদালত চলাকালীন ‘আমির হোসেন আমু’ নামে একজন আসামির রিমান্ড ও জামিন সংক্রান্ত দরখাস্ত শুনানীর সময় দুইপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় একজন আইনজীবী মেঝেতে পড়ে যান বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা আদালতের গোচরীভূত হয়। 

ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচারকার্য প্রতিষ্ঠাসহ আদালতের প্রতি জনগণ ও বিচারপ্রার্থীদের আস্থা সমুন্নত রাখা এবং আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য এজলাস কক্ষে প্রত্যেকের শোভন আচারণ বজায় রাখা একান্ত আবশ্যক। এজলাস চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্য আদালতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের এমন আচারণ আদালত ও আইনজীবীর মর্যাদা ক্ষুন্নকরণসহ জনগণ ও বিচারপ্রার্থীদের মাঝে আদালত ও আইনজীবীগণের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচারকার্য প্রতিষ্ঠাসহ জনগণ ও বিচারপ্রার্থীদের মাঝে আদালত ও আইনজীবীগণের প্রতি আস্থা অর্জনের নিমিত্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক দায়ী ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে ৭ নভেম্বর ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে আমির হোসেন আমুর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে দীর্ঘ বক্তব্যে শুনানি করেন। এরপর আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদনের শুনানির শুরুতে পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুকীর বক্তব্যকে রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করলে আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ করা হয়। মারধরের ঘটনায় তিনি আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান। একপর্যায়ে তাকে লাথি মারা হয়। এরপর কয়েকজন আইনজীবী তাকে তুলে আদালত থেকে বের করে দেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিচার দাবি করে ওই আইনজীবী বলেছিলেন, ‘আদালত চলাকালে তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনও ব্যবস্থা নেননি।’ 

যদিও পরদিন সকালে গত ৮ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর ফারুকী দাবি করেন, আইনজীবীকে মেরে বের করে দেওয়ার ঘটনা সাজানো। তিনি (স্বপন রায় চৌধুরী) আমির হোসেন আমুর আইনজীবী নন। আমুর পক্ষে আদালতে একাধিক ওকালতনামা জমা দেওয়া নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এরপর একটি পক্ষে তাকে আদালত থেকে বের করে দেয়।