খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতির মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির মামলায় আরও ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন।
সাক্ষীরা হলেন, পেট্রোবাংলার সাবেক চিফ অফ পার্সোনেল গোলাম মোস্তফা তালুকদার, বাপেক্স ডিজিএম ওয়াহিদুজ্জামান খান, ডিজি বিপিআই অবসরপ্রাপ্ত ইমদাদুল হক, ঢাকার সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাসিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল বাসেত তালুকদার, ডাক্তার ইসমাত মির্জা ও সাবেক সহকারী সচিব মেরাজ বেগম। আজ এ সাক্ষীরা আদালতে জবানবন্দি দিলে তাদের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জেরা করেন। এ নিয়ে এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
আজ সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নাইকোর সঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চুক্তির কাজ শুরু করে। এরপর বিএনপি ক্ষমতায় এসে শুধু চুক্তির কাজটি এগিয়ে নেয়। আজ যেসব সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন তারা কেউ এ মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি স্বীকার করেননি। শুধু হয়রানির উদ্দেশ্য খালেদা জিয়াসহ তৎকালীন সময়ে যারা কাজ করেছে তাদের আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলায় শেখ হাসিনা এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। তিনি ক্ষমতায় এসে বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচারককে ম্যানেজ করে নিজের নাম মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন। আর মামলাটি দুদক করলেও এখনো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি। এ সসয় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে খালেদা জিয়া খুব শিগগিরই এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি