সাড়ে ১১টায় এজলাসে উঠে প্রশ্নের মুখে বিচারক
সকাল সাড়ে ১১টায় এজলাসে উঠে প্রশ্নের মুখে পড়লেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান। জানা যায়, নাইকো দুর্নীতির মামলায় ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য্য ছিল ।
সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক থাকায় এ মামলায় এদিন দুদক ৭ জন সাক্ষী আদালতে হাজির করে সকাল ১০টার আগেই।
অন্যদিকে আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিরা সকাল ১০টার আগেই আদাালতে উপস্থিত।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
আসামি পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এবং শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেকে ১০টার দিকে আদালতে এসে বসে আছেন। কিন্তু ওই আদালতে বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের এজলাসে ওঠার সময় সাড়ে ১১টায়। তা আদালত কক্ষেও লেখা আছে।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এবং শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী। তারা সুপ্রিম কোর্টে কাজ রেখে সকাল ১০টা থেকে এই আদালতে এসে বসে আছেন। কিন্তু বিচারক এজলাসে উঠবেন সাড়ে ১১টায়। তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
সাড়ে ১১টায়ই বিচারক এজলাসে ওঠেন এবং মামলাটিতে ঢাকার সাবেক মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। এ সাক্ষী জবানবন্দির পর জেরা করতে ওঠেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি জেরা শুরু করার আগে বিচারকের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আদালতে সময় সকাল সাড়ে ৯টায়। সেখানে সাধারণত সাড়ে ১০টায় কোর্ট ওঠেন। আমরা সেভাবেই আদালতে আসি। আমরা কতো কাজ ফেলে বসে আছি, আর আপনি (বিচারক) সাড়ে ১১টায় এজলাসে ওঠার সময় ঠিক করেছে। এটা কেন?’
তখন বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান বলেন, ‘এই সময়টা তো আইনজীবীদের সাথে কথা বলে ঠিক করা হয়েছে। আর আপনাদের এই মামলা যেদিন থাকে সেদিন তো এই মামলার বিচারই প্রথম শুরু করি। আপনারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবী) বলেন, আপনাদের মামলায় কখন বিচারকাজ শুরু হলে ভালো হয়। তখনই শুরু করব। এরপর তিনি আইনজীবীদের কাছ থেকে নাইকো মামলায় পরবর্তী তারিখ থেকে সকাল ১০টায় এজলাসে উঠে বিচার শুরু করার সময় ঠিক করেন। এরপর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাক্ষীকে জেরা শুরু করেন।