কোরআন ছুঁয়ে শপথ করা কি জায়েজ?
মানুষকে সত্য, সুন্দর ও সঠিক পথ দেখানোর জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। এসব নবী-রসুলের গাইডবুক হিসেবে কিতাব দিয়েছেন। এসব কিতাবের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব হচ্ছে আল-কোরআন। কোরআনের শিক্ষা ও নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা প্রতিটি মুমিনের জন্য আবশ্যক।
কথার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে অনেকে শপথ করে থাকে। কেউ কেউ তাদের শপথকে পাকাপোক্ত করতে মাথা ছুঁয়ে, কোরআন ছুঁয়ে, মাজার ছুঁয়ে শপথ করে। মন চাইলে যেনতেনভাবে শপথ করা যায় না।
মহান আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুর নামে শপথ করা যায় না। হাদিস শরিফে আছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে শপথ করে, সে অবশ্যই কুফরি বা শিরক করল।’ (তিরমিজি: ১৫৩৫)
আরও পড়ুন:
কোন সময় দোয়া করলে বেশি কবুল হয়?
কোনো কিছু ছুঁয়ে যদি মহান আল্লাহর নামেই শপথ করে তাহলে তা শপথ বলে গণ্য হবে। সে শপথ রক্ষা করতে হবে। শপথ ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। এ হিসাবে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করলেও তা শপথ বলে গণ্য হবে। তবে কারও মাথা ছুঁয়ে বা মাজার ছুঁয়ে শপথ করা যাবে না।
কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার নামে করা শপথ ভঙ্গ করলে ‘কাফ্ফারা’ স্বরূপ তিনটি কাজের যেকোনো একটি করতে হবে। এক. দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণির খাদ্য সকাল-বিকেল দুই বেলা খাওয়াতে হবে। এটি অর্থমূল্যে দিতে চাইলে প্রত্যেককে পৌনে দুই কেজি গম বা তার অর্থমূল্য দিতে হবে।
আরও পড়ুন:
ক্ষমা চেয়ে ইসলামের পথে পরিচালক
দুই. দশজন দরিদ্রকে ন্যূনতম ‘সতর ঢাকা’ (শরীরের যতটুকু অংশ ঢাকা ফরজ) পরিমাণ পোশাক-পরিচ্ছদ দান করতে হবে। তিন. ক্রীতদাস থাকলে একজনকে মুক্ত করে দিতে হবে।
কেউ যদি এ আর্থিক কাফ্ফারা দিতে সমর্থ না হয়, তার জন্য কাফ্ফারা হলো তিনটি রোজা রাখা। হানাফি মাজহাব মতে, ওই রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২১ দিন