ইসির ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫০
শেয়ার :
ইসির ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক কারাগারে

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে বরকতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়। গ্রেপ্তার বরকতউল্লাহ ইসির ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক ছিলেন।

গত ৮ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তারেক বরকতউল্লাহসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা করেন জনৈক এনামুল হক। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে।

মামলায় বলা হয়, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। এতে জনগণের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) যাচাইসেবা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য–উপাত্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পারবে না। চুক্তি অনুসারে ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের অনুলিপি তৈরি করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে প্রদান করা হয়।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এসব তথ্য ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রদান করে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত এই তথ্যগুলো একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৮০টির বেশি দেশি-বিদেশি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থের বিনিময়ে ৫ বছর ধরে বিক্রি করছে।