প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার, শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. বিধান রঞ্জন পোদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের একটি প্রতিনিধি দল।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এবং ট্রাস্ট মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদার। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দল উপদেষ্টাকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি বলে তাগিদ দেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও প্রিন্সিপাল নূরে আলম তালুকদার বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় বসার পর ৬টি কশিশন গঠন করেছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আজ পর্যন্ত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়নি। অথচ আমরা সবাই বলে থাকি শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে সবার আগে জাতিকে সুষ্ঠ সবলভাবে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। তাই কাল বিলম্ব না করে সকল স্ট্যাক হোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে শিক্ষা এবং বিচার ব্যবস্থাসহ দেশের সকল সংস্থার অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সেই স্বৈরাচার আওয়ামীলীগকে বিতাড়িত করে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পেরেছি। তাই এখন সময় এসেছে দেশকে ঢেলে সাজানোর। সরকার যেহেতু ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন, তাই কালবিলম্ব না করে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা জরুরি।
প্রতিনিধিদল উপদেষ্টাকে জানান, বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট গত ২৪ বছর অর্থ্যাৎ দুই যুগ যাবৎ দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। তাই ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিও এ কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সংক্ষেপে গত ২৪ বছরের ট্রাস্টের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ্যাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
মতবিনিময় কালে ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দীন আহমেদের বিশেষ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. তারেক রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবি দলের সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক আরিফুল ইসলাম জিয়া প্রমুখ।