কারাগারে সালাম মুর্শেদী, কাউন্সিলর এনামুল রিমান্ডে
বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক বাবুলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার মামলায় খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এনামুল হক বাবুলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস। আসামিপক্ষে আইনজীবী এইচ এম আব্বাস আলী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক।
সালাম মুর্শেদীর সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী বলেন, দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আমরা তিনটি আবেদন করেছি। জামিন আবেদন, স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনা করে চিকিৎসার আবেদন এবং তার সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে ডিভিশন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে ডিভিশন ও চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২ অক্টোবর সালাম মুর্শেদীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ১ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা বেলা ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।