সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র্যাব বাদ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।
এদিন সকালে সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
এদিকে, গতকাল রবিবার এই মামলায় বাদীপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আলোচিত এই মামলাটি এখন র্যাব তদন্ত করছে। তবে রহস্য উদঘাটন করা এবং জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর তদন্তভার দেওয়ার আবেদন করবে বাদীপক্ষ।
মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলার ধারাবাহিকতায় যে দুজনের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট এসেছে তা তদন্তের ভিত্তিতে শনাক্ত করতে হবে। এছাড়া র্যাবের কাছে থাকা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনি। তাদের একমাত্র ছেলে ৫ বছর বয়সী মাহির সারোয়ার মেঘ সে সময় বাসায় ছিল। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।
শুরুতে মামলাটি তদন্তের তদন্তের দায়িত্ব পায় শেরেবাংলা নগর থানা। তিনদিন পর তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল সেটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ হত্যার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের রহস্য উন্মোচন করে তা জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে; কিন্তু এক যুগেও সে রহস্য উন্মোচন আলোর মুখ দেখেনি।