ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে জানাল এনসিটিবি

অনলাইন ডেস্ক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২০
শেয়ার :
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে জানাল এনসিটিবি

মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের বই অনুসারেই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়নে শিখনকালীন মূল্যায়নও থাকছে। প্রতিটি বিষয়ে ৭০ শতাংশ নম্বর বার্ষিক পরীক্ষা থেকে এবং ৩০ শতাংশ নম্বর শিখনকালীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাবেন শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার এ নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। একই সঙ্গে চারটি শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসও প্রকাশ করা হয়েছে। এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা এ সিলেবাস ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এনসিটিবি জানিয়েছে, চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরে নেওয়া হবে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষায় থাকবে সংক্ষিপ্ত, বর্ণণামূলক প্রশ্ন, সঠিক উত্তর ও শূন্যস্থান পূরণ। সামষ্টিক মূল্যায়নে ৭০ শতাংশ আর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশে।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। আবার পরীক্ষার ফল প্রকাশেও থাকছে না আলোচিত-সমালোচিত ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্ত। এর পরিবর্তে আবারও চালু করা হবে নম্বরভিত্তিক গ্রেডিং পদ্ধতি।’

তিনি বলেন, ‘একটা অংশ থাকবে যে, সংক্ষিপ্ত এমসিকিউ বাকি সিকিউ ধরনের প্রশ্ন এবং যে উদ্দীপক থাকে সেটা ছাড়াও কিছু প্রশ্ন রাখা হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা এগুলোও থাকবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্নদিক থেকে প্রশ্ন রেখে মূল্যায়ন করা হবে।’

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে মানদণ্ডগুলো আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা মেধা ঠিক করব। সেটা প্রথমে নম্বরের ভিত্তিতে করে গ্রেডে পরিবর্তন করা হবে। চলতি বছর সাময়িক সময়ের জন্য পুরনো সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির প্রচলনকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি অভিভাবক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনকারীদের।’