রুয়েট শিক্ষক সিদ্ধার্থ সংকর সাহার বহিষ্কার দাবি

রাবি প্রতিবেদক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০২
শেয়ার :
রুয়েট শিক্ষক সিদ্ধার্থ সংকর সাহার বহিষ্কার দাবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ সংকর সাহার বহিষ্কার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের নিচে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।

সিদ্ধার্থ সংকর সাহা রুয়েটের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তার বহিষ্কার দাবি করে সমাবেশ শেষে রসায়ন বিভাগের সভাপতির কাছে স্বারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। 

বিক্ষোভ মিছিলে ‘দফা এক, দাবি এক, শংকরের বহিষ্কার’, ‘শংকরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘শংকরের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শংকরের ঠিকানা, এই রুয়েটে হবে না’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি, রুয়েট ছাড় তাড়াতাড়ি’, ‘শংকরের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘শংকরের চামড়া, কুত্তা দিয়ে কামড়া’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

সমাবেশে মাইনুদ্দিন নামে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি ডিপার্টমেন্ট ও বিভিন্ন জায়গায় ইসলাম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলতেন। ফাইনালি আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে উনি কথা বলেছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গালি দিয়েছে। উনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সমন্বয়ককে গালি দিয়েছেন। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোন শক্তিকে এবং ধর্ম অবমাননাকারীকে আমাদের রুয়েটে স্থান হতে দিব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘উনি কালকে একটা পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। আজকে যদি স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকতো, উনি কি এই ক্ষমা চাইতো? স্বৈরাচার যদি ক্ষমতায় থাকতো যারা আন্দোলন করেছে ওনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। আমরা বলতে চাই, ভবিষ্যতে কেউ যেন এই ধরনের কর্মকাণ্ড করার সাহস না পায়। এই ধরনের শিক্ষকদের আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার চেষ্টা করব।’

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে সিদ্ধার্থ সংকর সাহার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।