সাইবার নিরাপত্তা আইনে পলকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
ইন্টারনেট নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন মো. সোহাগ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।
বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ও গত ১৮ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এতে টানা ৫ দিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকে ১৩ দিন। গত ১৮ জুলাই আসামি জানান, পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ডাটা সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের কথা বলে নেট বন্ধ হয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটি যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে তা অনুযায়ী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
অপরদিকে, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার" (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারনার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি সাবেক সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী হয়েও বিভিন্ন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট সংক্রান্ত বন্ধ মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালায় যায় ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে তাদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যার ফলে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি