হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু /
শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকালে রাজধানীর মিরপুরে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে রংপুর ক্যামিকেল লিমিটেডের অফিস সহকারি ফিরোজ তালুকদার ওরফে পলাশ নিহত হওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী রেশমা সুলতানা।
আজ বুধবার ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও র্যাব পুলিশের বিপথগামী উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আসামি করেছেন বাদী। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোরাদ হাসান সেলিম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য সকল আইনজীবী তথা এমিকাস কিউরিদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। তার জাজমেন্ট আদালতের আকাঙ্খা উপেক্ষা করে দেশে অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র কায়েমপূর্বক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের যথেচ্ছভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আসামিরা যেনতেনভাবে গণমানুষের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে জাল ভোট, মৃত ব্যক্তির ভোট নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় গণ মানুষের স্বাভাবিক উপস্থিতি ব্যতীত কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন ও বাক স্বাধীনতা খর্ব করাসহ খুন, গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নিস্পেষণ অব্যাহত রাখে।
মামলায় আরও বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তারা হত্যা, গুম, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দমন-পীড়ন করলে আন্দোলনকারীরা সারা বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে তাদের পাশে সার্বিক অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করে। এরই প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নির্দেশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ কতিপয় বিপথগামী সদস্য, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী আন্দোলন দমনের জন্য ক্রাকডাউনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুলাই বিকেল ৬ টার দিকে ফিরোজ তালুকদার মিরপুর-১০ গোলচক্কর অতিক্রম করার সময় হেলিপক্টার থেকে র্যাবের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি