পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ, যা গণহত্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত
সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, আর এ কারণেই গণহত্যা হয়েছে বেল দাবি করেছেন রিকশাচালক হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।
অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশেই সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক আকারে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তাই আদালতও মনে করে গণহত্যার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আদালত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা অনুধাবন করে তাদের প্রত্যেককেই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের প্রত্যক্ষ মদদ ও সহযোগিতাতেই ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘আদালত মনে করে পলকসহ এই তিন আসামির নির্দেশনাতেই সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেহেতু ইন্টারনেট বন্ধের পর বড় একটি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তাই এর দায় কোনোভাবেই তারা এড়াতে পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ১০ দিনই মঞ্জুর করে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই পল্টনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক কামাল উদ্দিন। এই ঘটনায় পরে তার স্ত্রী ফাতেমা পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় টুকু-পলক-সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়।